জর্ডানে সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাবে সিরিয়া-ইরাকের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের অবকাঠামোতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় মার্কিন সেনা ঘাটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ৩ মার্কিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪১ সেনা আহত হন।
এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সিরিয়া-ইরাকে থাকা ইরানি ও তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছিল, টানা কয়েক দিন এ হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে কখন কোথায় এ হামলা হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে মার্কিন বিমান হামলা করার কথা জানিয়েছিল তারা।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ৮৫টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, তার নির্দেশে মার্কিন বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। যা মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হতো। আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ শুরু হলো, এটি চলমান থাকবে।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না। তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের জানা দরকার, কেউ যদি একজন আমেরিকানের ক্ষতি করেন তবে আমরা তার জবাব দেবো।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাটিগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলার শিকার হচ্ছে। এবার এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।