মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লবঃ
পল্টন ও রমনা থানার পৃথক ৬ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া রমনার দুই ও পল্টনের এক মামলায় তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন। পল্টন থানার পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটিতে এবং রমনা থানার চারটি মামলার মধ্যে দুইটিতে জামিনের আদেশ দেন আদালত। এদিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে জামিনের আবেদন শুনানি করেন আইনজীবী জয়নাল আবেদীন, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, মহি উদ্দিন চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে আদালত এ আদেশ দিলেন।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে মির্জা আব্বাসকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালত হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ ৫ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ রমনা থানার ৪ মামলায় দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গত ২৪ জানুয়ারি মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এরমধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ মামলায় গত বছরের ১ নভেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পুলিশ কনস্টেবল হত্যাসহ পাঁচ মামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ চার মামলা এবং রেলওয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এসব মামলায় গ্রেফতার ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।