কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের উখিয়ার উলুবুনিয়া, পালংখালী, রহমতের বিল ও টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং সীমান্ত দিয়ে আরও ১১৬ জন মায়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে তারা সীমান্ত অতিক্রম করার পর প্রচলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি। তবে, সকালে ১১৪ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয়ের তথ্য নিশ্চিত করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন। তিনি জানান, সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবিসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।
তবে, সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে সংঘাত অব্যাহত থাকায় সেখানকার সীমান্তরক্ষীরা এদেশে আশ্রয় গ্রহণ করছেন। এ নিয়ে আগের ১১৩ জনসহ মোট ২২৯ বিজিপি সদস্য সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
বিজিবি’র সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে বিজিবি। তাদের থাইংখালী সাইক্লোন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মায়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার ২২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের তুমব্রæ, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা ও চাকমা স¤প্রদায়ের লোকজন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে চাকমা স¤প্রদায়ের লোকজন অনুপ্রবেশ চেষ্টার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।