বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে বিএনপির সমাবেশে গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্য রাজ্জাককে দেখতে আসেন আইজিপি। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। স্থানীয় লোকজন আতঙ্কে আছে, সীমান্ত এলাকায় পুলিশ কী ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, এখন পর্যন্ত আহত হয়ে যারা আমাদের দেশে এসেছেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসন সবাই মিলে সরকারের নির্দেশনার আলোকে দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য প্রস্তুত আছে দেশের প্রয়োজনে দায়িত্ব পালনের জন্য।
সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছে, এখন তারা কাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, কে মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে তা এখনো সুনিশ্চিত না। এ ঘটনায় আমরা একটা মামলা নিয়েছি। মামলার আসামি অজ্ঞাত। তদন্তে যাদের নাম আসবে পরবর্তী সময়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কী নির্দেশনা আছে জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। জেলা পুলিশসহ এপিবিএন সতর্ক আছে। সীমান্তে বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দায়িত্ব পালনে যে সহযোগিতা চাচ্ছে আমরা সে সহযোগিতা দিচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থা মিলে যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধিসহ পেট্রোল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশসহ সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা দায়িত্ব পালন করছে।
এ সময় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।