পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর তৃতীয় দিনেও পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২৬৪ আসনের মধ্যে ২৫৬ আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পূর্ণাঙ্গ ভোটের ফল প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগ এনে তিন আসনে আবার ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। খবর ডন ও জিও টিভির।
শনিবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। খবর ডন ও জিও টিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৮৮, ১৮ এবং ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র ৮৮ নম্বর আসনের ২৬ ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটের ঘোষণা দেন। সেখানে রিটার্নিং অফিসারের অফিসে ভোটের সামগ্রীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া ১৮ নম্বর আসনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা ভোটের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে। সেখানেও ১৫ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট। একই কারণে পুনরায় ভোট হবে ৯০ নম্বর আসনেও।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪২ নম্বর আসনের একটি ভোটকেন্দ্রে কথিত ভাঙচুরের বিষয়ে জেলা আঞ্চলিক কর্মকর্তার কাছে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে ইসিপি।
পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এ অবস্থায় সরকার গঠনের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফল অনুযায়ী একক দল হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন) ৭১টি। সর্বশেষ ফল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৩। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিতসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৯ আসনে জয়ী হয়েছেন।
এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে কোনো রাজনৈতিক দলকে দেশটির জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ১৩৪ আসনে জয়ী হতে হবে।