ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জামিনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ মামলায় জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এস এম গোলাম কিবরিয়া শামিম ওরফে জি কে শামিমকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এস এম আবদুল মোবিন এবং বিচারপতি মাহমুদ হোসেন তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, তাকে শুনানিতে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি এবং অ্যাডভোকেট মো. নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল সামিরা তারান্নুম রাবেয়া মিতি।
সেদিন শুনানিতে ফিদা এম কামাল বলেন, শামীমের অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল, যা বিচারিক আদালত রায়েও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তারপরও তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬ এর ২৫ বিধির লঙ্ঘন দেখিয়ে অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ এর ১৯ (ই) ধারা মোতাবেক, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা, নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য অপরাধ সংঘটিত হয় না তথা সাজা দেওয়া যায় না। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দেন।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শেখ সামিদুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় তাকে এ সাজা দেন।