পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কয়েক দিনের আলোচনার পর গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি)। এতে সরকার গঠন নিয়ে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হয়।
তবে এমন সরকার গঠন থেকে বিরত থাকতে পিএমএল-এন ও পিপিপি এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দল দু’টি জনরায় চুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেছে পিটিআই।
জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ৯৩ আসনে জয়ী হন। এ ছাড়া নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৯ ও বিলাওয়ালের পিপিপি ৫৪ আসনে জয়ী হয়। সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৩৪টি আসন।
পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী। গতকাল বুধবার কারাগারের বাইরে পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেন, পিএমএল-এন ও পিপিপি জোটের জন্য তার কাছে একটি বার্তা আছে। সেটা হলো ন্যূনতম বিবেচনাবোধ প্রদর্শন এবং সরকার গঠন থেকে বিরত থাকা।
আসাদ কায়সার বলেন, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফ। জনগণ তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ম্যান্ডেট দেয়নি।
এদিকে, নতুন জোট সরকারের সমালোচনা করেছে জামায়াত-ই-ইসলামিও। দলটির প্রধান সিরাজুল হক বলেছেন, এই সরকার মধ্যরাতে গঠিত হয়েছে। এ দেশে বিষয়টি নতুন কিছু নয়। দুই পরিবারের শাসন প্রতিষ্ঠা হলো। গত তিন দশক দলে এটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: ডন ও জিও নিউজ