কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত ফেনসিডিল ব্যবসায়ী রিপন ও জুয়েলের প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা ফেনসিডিলের ব্যবসা। তাদের কার্যক্রমে অতীষ্ট এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের রমরমা কারবার। দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের ছাত্রাপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে রিপন ও একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে জুয়েল ফেনসিডিলের ব্যবসা রমরমা চালিযে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা আছে।
কয়েক দশক ধরে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে তাদের ফেনসিডিলের রমরমা ব্যবসা। শুধু তাই নয় দৌলতপুর উপজেলা জুড়ে রয়েছেন তাদের ফেনসিডিল ও গাঁজার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার সিন্ডিকেট। কোন কিছুতেই থামছেনা তাদের দৌরত্ব। কাউকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ কারবার।
জনমনে প্রশ্ন, ইউনিয়নটির অতি সংনিকটে একটি বিজিবির ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এত খোলামেলা ভাবে ব্যবসা করে রিপন ও জুয়েল।এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিলেও কিছুতেই কমছেনা রিপন ও জুয়েলের মাদক ব্যবসা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রিপন ও জুয়েলকে একাধিকবার মাদকের কারবার বন্ধ করতে বলা হয়েছে কিন্তু সে এসব কথায় কর্নপাত করছে না। উল্টো স্থানীয়দের বিরুদ্ধেই নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দেয় রিপন ও জুয়েল। তাদের দাবি, প্রশাসনকে নাকি ম্যানেজ করে এই অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রকাশ্যে রিপন ও জুয়েলের ফেনসিডিল কারবারের কারনে এলাকায় চুরি ছিনতাই ডাকাতিসহ নানরকম অপরাধ বেড়েছে। তরুন-যুব সমাজ মাদকের সাথে জড়িয়েয় পড়ছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে, তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ জানায়।
এ বিষয়ে রিপনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে কি বলেন আমি ব্যবসা করি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আপনারা আমার নামে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না।
প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছি। এছাড়াও থানা পুলিশের সহযোগিতায় মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে পুলিশ। মাদকের সাথে সম্পৃক্ত কাউকে কোনপ্রকার ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।