ফের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার অভিযোগ, মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে। আর এমনটা হলে, দায়ী হবেন ইমরান খান ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তারা।
করোনা মহামারী থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে দেশটির ওপর। সব মিলিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে মরিয়া ইমরান খানের প্রশাসন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী। গণতন্ত্রের আড়ালে দেশটিতে সরকার চালাচ্ছে সেনাবাহিনী তা সবার জানা। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর হামলার আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ, বরাবরই গণতান্ত্রিক সরকারের কাজে ‘সর্বশক্তিমান’ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছেন দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কার্যত তার নেতৃত্বেই ইমরান সরকারকে গদিচ্যুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে ১১টি বিরোধী দলের ‘মহাজোট’। ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম টার্গেট নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবার।
বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন নওয়াজ। সেখান থেকেই একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “মরিয়মকে বারবার হুমকি দিচ্ছে সেনাবাহিনী। ফৌজের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না থামালে তাকে খতম করে দেওয়া হবে বলে শাসানো হচ্ছে। আমার মেয়ের কিছু হলে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, আইএসআই প্রধান জেনারেল ফাইজ হামিদ ও জেনারেল ইরফান মালিক দায়ী থাকবেন। আপনারা এত নিচে নেমে গিয়েছেন। প্রথমে করাচিতে আমার মেয়ের হোটেলে হামলা চালালেন। এবার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। দু’টি দুর্নীতি মমলায় তাকে বারবার সমন পাঠানো হলেও আদালতে হাজির হননি তিনি। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে তাকে ‘ঘোষিত অপরাধী’ হিসেবে দেগে দেয় ইসলমাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মহসিন আক্তার কয়ানির বেঞ্চ। ফলে দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।