রাজধানী ঢাকা মিরপুরের ১নং সেকশনের ঈদগা মাঠ সংলগ্ন ফুটপাতে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার। এতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক লাগানো গাছগুলো মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজি বাজারের আবর্জন-উচ্ছিষ্টের কারণে বেশ কিছু গাছ ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে বাকিগুলোও জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় মারা যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ বাজারের প্রায় শতাধিক দোকান থেকে দৈনিক হাজার হাজার টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে ভাগ-বটোরা করে নিচ্ছে কথিত নুরু ও তার জামাতা ইউনুস। আর অবৈধ বাজার স্থাপনে স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে!
সরজমিনে ঘুরে জানা যায় , বর্তমান মেট্রো পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের যোগদানের সাথে সাথে ঢাকার মিরপুর সহ বেশ কিছু জায়গায় গড়ে ওঠা ফুটপাত বাজার গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং তড়িঘড়ি করেই সিটি কর্পোরেশন ফুটপাতের সৌন্দর্য বর্ধন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ফুটপাতের কোল গেঁষে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা রোপন করে সেগুলোতে বাঁশের চেরিকাট দিয়ে বেড়া দিয়ে দেয় এবং বেশ কিছুদিন ধরে এজাতীয় অবৈধ বাজার বন্ধ থকে।অজ্ঞাত কারণে কিছুদিন পর থেকে আবারো পূর্বের ন্যায় বাজারগুলো বসতে থাকে। এদিকে রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১ নং সেকশনের ঈদগা মাঠ সংলগ্ন ফুটপাত ও পশ্চিম-উত্তর পাশের রাস্তার একাংশ দখল করে রমরমা অস্থায়ী বাজার চালু হয়। এই বাজারে বেশিরভাগ দোকানই মাছের। অন্যান্য দোকানের মধ্যে গরুর মাংস, ভ্রাম্যমান মুরগি, নানাজাতের শাক-সবজি ও বেশ কিছু টঙ্গের চা দোকান চলমান রয়েছে। যত্রতত্র এই বাজার স্থাপনের কারণে স্থানীয়দের ও পথচারীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন, ঢাকা শহরে এমনিতেই বাচ্চাদের খেলাধুলা বা হাটা-চলার জন্য তেমন কোন মাঠের সু-ব্যবস্থা নেই।আমাদের মিরপুর ১নং সেকশনের বিশেষ করে, বি ব্লক, সি ব্লক, ডি ব্লক, ই ব্লক,এফ ব্লক, রাইনখোলা, দুই নম্বর পানির ট্যাংকি ও সনি সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকার ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা এবং মুরুব্বিদের হাঁটা-চলার একমাত্র জায়গা হচ্ছে এই ঈদগা মাঠটি। আর এই মাঠটির বিভিন্ন অংশ দখল করে দোকানপাট চালু করা আছে দীর্ঘদিন থেকেই। কিন্তু বর্তমানে মরার উপর খরার ঘাঁ হিসেবে এই কাঁচা বাজারটি আমাদের চলাচল ও ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে।সকাল বেলা এখান দিয়ে যাতায়াতের কোন জোঁ নেই আর সারাদিন মাছ-মাংসের উচ্ছিষ্টের পচা-দুর্গন্ধে এখানে নাক পাতা-ই দায়।তারা আরো অভিযোগ করে আরো বলেন,বেশ কিছুদিন আগে সিটি কর্পোরেশন থেকে বেশ সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়ে এখানে প্রায় ৩০-৪০ টা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছিল ও সেগুলো বেড়া দিয়ে রাখা ছিল এবং গাছগুলো খুব তরতাজা ভাবে বেঁচে ছিল। বর্তমানে অধিকাংশ গাছের চাঁরাই মেরে ফেলা হয়েছে আর যেকটা চারাগাছ বেচেঁ আছে কর্তৃপক্ষ আশু কোন ব্যবস্থা না নিলে এই অবৈধ বাজারের মাছ- মাংস-তরকারির উচ্ছিষ্ট আর ক্রেতা- বিক্রেতার নির্বিচার পদচারণার চাপে মারা যাবে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ অবৈধ বাজার বন্ধ করে পূর্বের নেয়ে অত্র জায়গাটিতে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের খেলা-ধুলার পরিবেশ ও স্থানীয় পথচারীদের স্বাভাবিক চলাফেরার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এই বাজারের প্রায় শতাধিক দোকানের প্রত্যেক দোকান থেকে দৈনিক ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা হারে চাদাঁ সংগ্রহ করে জৈনিক নূর মোহাম্মদ ওরফে নুরু এবং তার জামাতা ইউনুস।পক্ষান্তরে এই বাজারের ময়লা আবর্জনা সবকিছু পরিষ্কার করার কাজ করছে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকার সিটি কর্পোরেশনের নিয়োজিত পরিছন্নতা কর্মীরা। জনগণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সরকারি জায়গার ভাড়া খাচ্ছে নুরু নামীয় কিছু ব্যক্তিরা আর এতে সহযোগিতা করছেন সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গরা। আর আবর্জনা পরিষ্কার করছে সেই অভাগা জনগণের টেক্সের টাকায়! ভাবুন তো— আমরা কোথায়! আমাদের বিবেকবোধ কোথায়!
চাঁদাখোরদের বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন অনুসন্ধানের পরবর্তী পর্বে—-!!!