রুনা আমির, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে যদিও আমের ফলন কম তার পরও গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। প্রায় সব জায়গায় চোখে পড়ছে মুকুলে ছেয়ে যাওয়া অসংখ্য আম গাছগুলো। এভাবে ফাগুনে গাছে-গাছে প্রস্ফূটিত আমের মুকুল, সর্বত্র ছড়াচ্ছে স্বর্ণালী আভা।
এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। প্রকৃতির পালা বদলে সারা দেশের ন্যায় ঝলকাঠির প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম গাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ-মৌ করছে প্রকৃতি। এই মনোরম চিত্র দেখে মনে পড়ে রবীদ্রনাথ ঠাকুরে লেখা জাতীয় সঙ্গীতের সেই চরণ “ওমা ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রানে পাগল করে।”
আম বাগানের মালিকরা বলছেন, মাঘের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝেছেন, আমের মৌসুম এসে গেছে। গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভালো ফলনের আশায় গাছে পরিচর্যায় এখনো ব্যস্ত তারা। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ছোট গাছ কিংবা বড় গাছেও দেখা মিলেছে মুকুল ও প্রায় সব জাতের আমগাছেই মুকুল এসেছে। যার সৌন্দর্য চোখ জুড়ানো। আমগাছের শাখাগুলো ভরা উজ্জ্বল সোনালী মুকুল যেন আকাশের বুকে ডানা মেলে দিয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইসরাত জাহান মিলি জানান, জেলায় এবছর ২৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ফজলী, রূপালী, হিমসাগর, ব্যানানা, কাঁচা মিঠা, লকনা, আশ্বিনাসহ দেশিয় প্রজাতির নানা জাতের আম চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছর ঝালকাঠিতে আমের বাম্পার ফলন হবে।
নলছিটিত উপজেলার আমচাষী মিন্টু মৃধা ও ছাইফুল ইসলাম পৃথক পৃথক ভাবে জানান, এবছর তাদের বাগানে প্রচুর পরিমানে আমের মুকুল ধরেছে। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে তাঁরা লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন।
ঝালকাঠির জেলায় মুকুলে ছেয়ে যাওয়া আমগাছগুলো আলাদা শোভা ছড়িয়েছে। সবুজ পাতার কিনার ছাঁপিয়ে ওঠা মুকুলের সোনালী রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়ে স্বাগত জানিয়েছে বসন্তকে।