মোঃ আফ্ফান হোসাইন আজমীর, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর জেলায় অন্তত শতাধিক বহুতল ভবন রয়েছে অগ্নিঝুঁকিতে। যেগুলো আইন না মেনে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো তৈরি করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা করতে বারবার তাগাদা সত্ত্বেও শুনছেন না মালিকেরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুরের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নজমুজ্জামান বলেন, আমরা ভবন মালিকদের তালিকা তৈরি করেছি।
আইন অমান্য করে ভবন তৈরি যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, প্রাইম হসপিটাল, নর্থ ভিউ, ক্যাসপিয়া, গোল্ডেন টাওয়ার, হোটেল তোএসকে টাওয়ার, গ্রান্ড প্যালেস শাহ আমানত, সুপারমার্কেট, রাজা রাম মোহন মার্কেট, শাহ আমানত মার্কেট, ছালেক মার্কেট, জামাল মার্কেট, জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মার্কেটের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানে যথাযথ অগ্নি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই। এসব ভবনের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও মানুষের জীবন রয়েছে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে। একই অবস্থা জেলার শতাধিক বাণিজ্যিক ভবন ও বিভিন্ন বাজার এবং বিপণিবিতানের।
এসব ভবনে সব সময় লোকজনের ভিড় থাকলেও অগ্নিনির্বাপণে যথাযথ ব্যবস্থা নেই। জানা গেছে, ‘অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নি হইতে উদ্ধার আইন’ অনুসারে এসব বহুতল ভবনে নিজস্ব স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, নিজস্ব পাম্প, রাইডার, গ্যাস মাস্কসহ কয়েক রকম ডিটেক্টর, আলাদা বহির্গমন পথ, ভবনের ওপরে ও নিচে সংরক্ষিত পানির ব্যবস্থা, ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়নি। কোথাও কোথাও লোক দেখানো দু-একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ঝোলানো থাকলেও এসবের কোনো কোনোটি মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বারবার তাগদা দিয়ে চিঠি দিলেও ভবন মালিকেরা সাড়া দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিটি করপোরেশন থেকে ভবনের নকশা ফায়ার সার্ভিসের কাছে জমা দিয়ে ভবন মালিকরা অঙ্গীকার করে যথযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রেখে ভবন কিংবা মার্কেট নির্মাণ করবেন। কিন্তু যথযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। টাকা খরচের ভয়ে ভবন মালিকরা নিয়ম মানছেন না।