শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শেষের দিকের বোলিং এবং শুরুর ব্যাটিংয়ের জন্যই হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে ২০৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলীর অবিশ্বাস্য ইনিংসে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ধরন প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র। ৩ রানে ওই ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রভাব বিস্তার করে জিতেছে বাংলাদেশ। বুধবার এমন জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের সবাইকে প্রংসায় ভাসিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৬৫ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। জবাবে খেলেতে নেমে দুই ওপেনারের ৬৮ রানের জুটির পর তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ১১ বল আগেই লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেলে। এমন জয়ের পর সবাইকে কৃতিত্ব দিয়েছেন শান্ত, ‘খুবই ভালো। সবাই দলের জন্য খেলছে এটা গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ম্যাচে আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, এটা সবাইকে বাড়তি একটা বিশ্বাস দিয়েছে যে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। দুই ম্যাচেই দল হিসেবে আমরা ভালো খেলেছি। আলাদা কাউকে কৃতিত্ব দিতে চাই না। পুরো দলকে কৃতিত্ব দিতে চাই।’
দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন। শান্ত জানালেন, ড্রেসিংরুমের পরিকল্পনা অনুযায়ীই সবাই পারফরম্যান্স করতে পেরেছে, ‘আমার মনে হয় প্রথম ম্যাচের পর আমাদের খুব ভালো পরিকল্পনা হয়েছে। আমরা কীভাবে কী করতে চাই! খুব ভালো ছিল। বোলাররা খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। সবাই পরিষ্কার ছিল যে তারা কী করতে চায়। সেটাই আমাদের কাজে দিয়েছে। সবাই সবার পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে।’
প্রথম ম্যাচে হারের পরও দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশ পরিবর্তন করেনি বাংলাদেশ। শান্ত মনে করেন দলের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখা জরুরি, ‘অবশ্যই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রথম ম্যাচটাতেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। একটা ম্যাচ শেষ ওভারে গিয়ে হেরেছি। আমার মনে হয় খুব বেশি ঘাটতি ছিল না। আমার কাছে ভালো লেগেছে সবাই দলের জন্য চেষ্টা করেছে। এজন্যই আমি ও কোচিং স্টাফরা খুব বেশি পরিবর্তনের চিন্তা করিনি। এটা আমাদের অবশ্যই সাহায্য করেছে।’