কেফায়েতুল্লাহ কায়সার, চট্টগ্রাম:
“অপসংস্কৃতির যুগে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চায়” স্লোগানে স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠন’র ১০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে ঢাকা সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ৯ মার্চ শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায় সেলিম ভূঁইয়ার একক আবৃতি সন্ধ্যা এসো হাত ধরি কবিতার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তি শিল্পী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দ সৈনিক ও বাচিক শিল্পের প্রশিক্ষক আশরাফুল আলম, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এন বি ই আর জিও পলিটিকাল ইকোনোমিস্টের চেয়ারম্যান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ‘র সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসানুল আলম পারভেজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কবি মালেক মুস্তাকিন, সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার ঢাকা ও আবৃত্তিশিল্পী উপস্থাপক শামীম আহমেদ নিজস্ব।
ত্রিলোক বাচিকশিল্প চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাসুম আজিজুল বাসারের উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সঙ্গীতে সঞ্জয় বণিক, কি-বোর্ড মাহবুবুল আলম সোহেল, তবলায় অভিজিৎ সাহা সাগর, বাঁশিতে উত্তম কুমার চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাসুদ রানা ও মেহেদী হাসান আকাশ। সেলিম ভূঁইয়া অনুষ্ঠানে ৫০টি ছড়া-কবিতা আবৃত্তি করেন। সেগুলো হলে-মাযহারুল ইসলাম – আমি মুজিবের কাছে, মালেক মুস্তাকিন -একুশ ফিরে আসে, মুরালি মোহন সেন – শাসন আব্দুল কাদের আরাফাত- ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট , মাহবুবুল উল আলম চৌধরী- কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি সৈয়দ শামসুল হক – নুরুলদীনের সারা জীবন শামসুর রহমান, তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা প্রতুল মুখোপাধ্যায়, আমি বাংলায় গান গাই নির্মলেন্দু গুণ, স্বাধীনতা এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো ও মাত্রাভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম, মানুষ, খুকি ও কাঠ বিড়ালী
জীবনানন্দ দাশ – অন্ধকার, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – কবির মৃত্যু, জসিম উদ্দিন – প্রতিদান, পুর্ণেন্দু পত্রী- সোনার ম্যাডেল, আসাদ চৌধুরী – তখন সত্যি মানুষ ছিলাম, হেলাল হাফিজ – ফেরিওয়ালা, মুহাম্মদ নুরুল হুদা- টুঙ্গী পাড়ার খোকা বাবু , শুভ দাশগুপ্ত – জন্মদিন, আনিসুল হক – মানুষ জাগবে ফের
সুকান্ত ভট্টাচার্য্য – একটি মোরগের কাহিনী, লুৎফর রহমান রিটন – বন্ধু মানে, ড. মুহাম্মদ সামাদ – মুজিব, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ কোন এক মাকে, সরল দে – মশা, সুকুমার বড়ুয়া – এমন যদি হত ও ঠিক আছে ২টি, সুকুমার রায় – জীবনের হিসাব, রূপক চট্টরাজ – সহজ উপায়, রজনী কান্ত সেন- বাবুই পাখিরে ডাকি, আলী হাবিব – টম এন্ড জেরী, চঞ্চল চৌধুরী- এক ডেগ পানি (নোয়াখালীর আঞ্চলিক কবিতা), অনিন্দ্য বড়ুয়া- গোডা চোলা খাঁইয়া (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কবিতা), ওমর কায়সার – মজা গড়ি ডুবাই খা (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কবিতা), অজ্ঞাত- যৌতুক প্রথা (চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কবিতা)
মদন মোহন তর্কালঙ্কার – আমার পন, আতোয়ার রহমান- ঠিকানা, পাশা মোস্তফা কামাল – আদর্শ ছেলে
রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুলাহ – বাতাসে লাশের গন্ধ, আলাউদ্দিন ফরহাদ – রং নাম্বারে কিছুক্ষণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – প্রশ্ন ইত্যাদি।