কেফায়েতুল্লাহ কায়সার, চট্টগ্রাম :
বেশ কিছুদিন ধরে নিত্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। খুচরা থেকে পাইকারী পর্যন্ত চলে এসব অনিয়ম। পণ্যের ক্রয় মূল্যের সাথে মিল নেই বিক্রয় মূল্যের। পাইকারী থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরাও একটি পণ্যের চারগুণ পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণ জনগণের পকেট কাটার পাঁয়তারায় লিপ্ত থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্মে দিশেহারা মানুষ।
রমজান উপলক্ষে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে গতকাল চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় চট্টগ্রামের অন্যতম বড় পাইকারি চিনি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা এবং নাবিল গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রামে এলাচের সবচেয়ে বড় আমদানীকারক এ বি ট্রেডার্সকে অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে তিনি বলেন,” কয়েকদিন আগে এস আলম সুগার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে খুচরা বাজারে চিনির দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে আসন্ন রমজানে যেন চিনির পাইকারি ও খুচরা বাজার দুটোই স্থিতিশীল থাকে সে উদ্দেশ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। চিনি বিক্রয়কারী দুটি প্রতিষ্ঠান আর এম এন্টারপ্রাইজ এবং নাবিল গ্রুপ কারো কাছেই কোন ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষিত ছিল না। ফলে তারা কত টাকায় কিনছেন বা বিক্রি করছেন তা আমরা জানতে পারছি না। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এ সুযোগে বাজারে চিনির দাম বাড়িয়ে ফেলছে। এজন্য সতর্কতামূলকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া এ বি ট্রেডার্স এর এলসি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তাদের প্রতি কেজি এলাচ আমদানি করতে ট্যাক্স ও আনুসাঙ্গিক অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১৪৫০ টাকা পড়েছে। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী পাইকারি পর্যায়ে ১৫% লাভ করলে দাম ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। তবে ঐ প্রতিষ্ঠানে এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ২২০০ থেকে ৩১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে পণ্যের মান অনুযায়ী ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকার বেশী এলাচ বিক্রি না করার কথাও ব্যক্ত করেন।