1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন

করনিক থেকে সাবরেজিস্টার, ২ মাসে আয় করলেন ২০ বছরের বেতন

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

এস আই মামুন হবিগঞ্জ:
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর রেজিষ্ট্রি অফিসের সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ মার্চ দলিল লিখক সমিতির সভাপতি এনাম বাদী হয়ে সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লালের বিরুদ্ধে ভুমি মন্ত্রী, ভুমি সচিব ও দুদুক চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে সুনির্দিষ্ট দলিলের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায় অফিস সময়ের বাইরে রাতের বেলায় দলিল সম্পাদ করাই উনার পছন্দ।
তাছাড়া সরকারের গেজেট অমান্য করে নিয়ম বহির্ভূত দলিল সম্পাদনা উনার কাছে নিয়মে পরিনত হয়েছে।
গত, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী জমির প্রকৃত মালিক, যার নামে মিউটেশন করা আছে সে ছাড়া অন্য কেউ জমি হস্তান্তর করতে পারবে না। কিন্তু জগদীশপুর রেজিষ্ট্রি অফিসের সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লাল প্রতি দলিলে ২০/৩০/৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রতারণার আশ্রয়ে রাতের আধারে গত দুই মাসে প্রায় শতাধিক সম্পাদন করার প্রমান পাওয়া গেছে। দলিল লিখক সমিতির সভাপতি এনামের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে দলিল তল্লাশি দিয়ে এর প্রমান পাওয়া যায়।
জানা যায়, কতিপয় অসাধু দলিল লেখকের যোগসাজশে উনি নিজস্ব বাহিনী তৈরি করেন। এমন কি দলিল লিখক সমিতি ও তিনি পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমিতির কয়েকজন সদস্য প্রতিবেদককে বলেন,দলিল লিখক সমিতির বর্তমান সভাপতি এনামের সাথে সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লালের বাকবিতণ্ডা হয়। ফলশ্রুতিতে সাবরেজিস্টার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সমিতির সভাপতি এনামের পক্ষে হাইকোর্ট রায় দিলেও সাবরেজিস্টার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আফিল করে দলিল লেখক এনামের লাইসেন্স স্ট্রে করায়। তাছাড়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতির লাইসেন্স স্থগিতের অজুহাতে সাবরেজিস্টার নিজের পছন্দের ব্যাক্তিকে রেজুলেশন করে সভাপতির দায়িত্ব দেন। রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে অনীহা প্রকাশ করায় দলিল আটকিয়ে দলিল লেখক দের স্বাক্ষর করতে বাধ্য করায় বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাক্ষর কারী কয়েকজন প্রতিবেদকের কাছে সত্যতা স্বীকার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে জগদীশপুর সাবরেজিস্টার অফিসে গিয়ে দেখা যায় ভুক্তভোগীদের ভীড়। একজন ভুক্তভোগী জানান সাবরেজিস্টার অফিসের শংকর বাবুর মাধ্যমে সাবরেজিস্টার ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দলিল সম্পাদন করেন। কিন্তু দলিলের নকল চাইতে গেলে আরো ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন।
প্রবাসী জেবুন্নেছা শাহাবুদ্দিন রীতা জানান উনার পৈতৃক সম্পত্তি( ভুয়া ওয়ারিশ সনদে রেজিষ্ট্রেশন) আদালতে রায়ে বাতিল দলিলের পুনরায় দলিল করতে ও ছাড়েন নি সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লাল দাশ।
আব্দুল বাসেত নামক ভুক্তভোগী জানান টাকা না দেওয়ায় উনার দলিল আটকে আছে সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লালের টেবিলে। তবে গনমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে টাকা ছাড়াই দলিলে সাইন করায় কয়েকজন দলিল গ্রহীতা গনমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লালের অপকর্মের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
জানতে চাইল সাবরেজিস্টার নিতেন্দ্র লাল দাস এর কোন সদুত্তর করতে পারেন নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি