ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি সংলগ্ন ডাউন র্যাম্প (নামার সংযোগ সড়ক) খুলে দেওয়া হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের ছয় মাস পর বুধবার (২০ মার্চ) সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই ডাউন র্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
এর ফলে উত্তরা থেকে আসা গাড়িগুলো খুব সহজেই মগবাজার, হাতিরঝিল ও কারওয়ান বাজার এলাকায় নামতে পারবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা নগরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ উদ্বোধন করেন। পরদিন বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ খুলে দেওয়া হয়। ওই অংশে সব মিলিয়ে ১৫টি র্যাম্প ছিল। এবার খুলে দেওয়া হলো ষোড়শ র্যাম্প।
মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান ছাড়া অন্যান্য সব যানবাহন নির্দিষ্ট হারে টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সাধারণ যাত্রীদের জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে বিশেষ বাস সেবাও চালু করেছে।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি ব্যয়ের মধ্যে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন ১৫ শতাংশ দিচ্ছে।