আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সার কিনতে খরচ ধরা হয়েছে ২৮৪ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৫৬২ টাকা। এর মধ্যে ২৫ হাজার টন রক ফসফেট এবং ৩০ হাজার টন ফসফরিক এসিড রয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এই সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। একই সঙ্গে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফাটিলাইজার প্রকল্পের হাউজিং কলোনি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত পূর্ত কাজের জন্য ১২৫ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫২ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।
তিনি জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম লটে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় কেনা হবে। আর বাকি দুটি লটে ২০ হাজার টন ফসফরিক এসিড ১২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্য এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ হাজার টন রক ফসফেট ৯৪ কোটি ৫০ লাখ ৯০ হাজার ৫৬২ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেসার্স দেশ ট্রেডিং করপোরেশন থেকে এ সার কেনা হবে। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৪২ দশমিক ৮৯ মার্কিন ডলার।
সচিব জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফাটিলাইজার প্রকল্পের হাউজিং কলোনি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত পূর্ত কাজের মধ্যে প্যাকেজ ডব্লিউ-৩ এ অন্তর্ভুক্ত কাজগুলো উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তমা কনস্ট্রাকশনকে এই কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৬৫২ টাকা।