কোহিনূর সুলতানা মিতুঃ
রাজধানীর মহাখালী,মালিবাগ,খিলগাঁও,বনানী রেলগেটে ট্রেন আসা-যাওয়ার তোয়াক্কা না করে রেল লাইনের ওপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা যেন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া রেল লাইনের দুই পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখায় মাঝেমধ্যে রেললাইনসহ আশপাশে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে।
যদিও রেললাইনের ওপর যেন গাড়ি দাঁড় করানো না হয় এবং আশপাশে যানজট তৈরি না হয় সে কারণে ট্রাফিক পুলিশদের নিয়মিত উপস্থিতি দেখা যায়।কিন্তু এতেও লাভ হচ্ছে বলে মনে হয় না।পুলিশের থাকা অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই রেলগেট পার হতে দেখা যায় যাত্রী-পথচারীদের।
রেললাইনের উপর গাড়ি দাঁড় করানো এবং যাত্রী উঠানো নিয়ে প্রায় যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের বাকবিতণ্ডা-ঝগড়া হয়ে থাকে।কিন্তু গাড়ি চালকরা এটাকে পরোয়াই করে না।যাত্রীদের কথা তারা কানেও তোলেন না।এমনও অনেক সময় লক্ষ করা যায় রেললাইন এর উপর গাড়ি যাত্রী নিচ্ছে আর দূর থেকে ট্রেন আসছে দেখা যাচ্ছে, এতে করে যাত্রীরা জীবন শংকায় থাকেন বলেও দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বেশ কিছু যাত্রী অভিযোগ করেছেন।
মানুষ কোনটি নিরাপদ স্থান, কোনটি বিপজ্জনক তা ভাবেন না। সবাই চায় কে আগে যাবেন।
পথচারীদের অভিযোগ,পথচারীদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাঝেমধ্য দুর্ঘটনাতেও পড়েন কেউ কেউ। দীর্ঘ দিন ধরে এমন সমস্যায় রয়েছেন।যাত্রী ও পথচারীদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই রেললাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যানজট, গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হচ্ছে।
রেললাইনের দুই পাশে অস্থায়ী বাজার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানপাটের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে রাস্তা কমে যাওয়ায় যাত্রী তুলতে হয় যেখানে সেখানে বলে অভিযোগ গাড়ির চালকদের।
স্থানীয়রা জানান, রেলগেটে গাড়ি থামানো,লোক তোলা নিত্যদিনের ঘটনা। এ ঘটনা পুরো খিলগাঁও, বাসাবো, কমলাপুর, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মালিবাগ রেলগেটসহ আশপাশের এলাকায়ও দেখা যায়।
খুব দ্রুত এর কোন সঠিক সিদ্ধান্ত কিংবা এর থেকে মুক্তির উপায় বের না করলে অচিরেই বড় কোন দূর্ঘটনার সাক্ষী হবে বাংলাদেশ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।