স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের কেউই রান পাননি। দলের মান বাঁচানোর দায়িত্বটা তাই বোলাররাই নিলেন। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম যেন দেখালেন টেস্টে কীভাবে টিকে থাকতে হয়। আর শেষে এসে খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম দলের মান বাঁচিয়েছেন ব্যাট হাতে নিয়ে। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিলেটে একসময় শঙ্কা ছিল দেড়শ পেরুনো নিয়ে। সেখানে স্কোর গিয়ে দাঁড়িয়েছে দুইশর কাছাকাছি।
টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডারের সবটাই যখন ব্যর্থতায় মোড়া, তখন লিডের আশা করাও যেন বোকামি। বাংলাদেশ লিড পায়নি। তবে কাছাকাছিও যাওয়া হয়নি তাদের। টাইগারদের ইনিংস শেষ হয়েছে ১৮৮ রানে। প্রথম ইনিংস শেষে লঙ্কানদের লিড ৯২ রানের।
লঙ্কান পেসারদের তোপের মুখে প্রথম দিনের শেষ দিকে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগে আরও ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। আউট হয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপু এবং লিটন দাস। লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরে এসে বাকি চার ব্যাটারও দ্রুত আউট হয়ে যান।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনটিতে শাসন করেছিলো পেসাররা। দ্বিতীয় দিনেও পেসারদের দাপট থাকবে হয়তো, শুরুতেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
বাংলাদেশ দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম দিন শেষ বিকেলে লঙ্কান পেসারদের সয়লাব ঠেকিয়েছেন। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আর ঠেকাতে পারেননি। লাহিরু কুমারার বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা সেই ক্যাচ তালুবন্দী করে জয় ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। দলীয় ৫৩ রানেই পড়লো বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেট। মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলেন ৪৬ বলে ১২ রান করে।
এর আগে প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (১০২) এবং কামিন্দু মেন্ডিসের (১০২) জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৩টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ এবং অভিষিক্ত নাহিদ রানা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একঘণ্টা সময় পান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু এই এক ঘণ্টায় ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ৯ রানে জাকির হাসান, ৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ৫ রানে আউট হয়ে যান মুমিনুল হক। দিন শেষে জয় ৯ রানে এবং তাইজুল অপরাজিত ছিলেন শূন্য রানে। বাংলাদেশের রান ছিল ৩ উইকেটে ৩২।