চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন হার ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। টাকার অংকে যা ৭২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমই) বিভাগের হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তাতে দেখা যায়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন হার বিগত ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এডিপি বাস্তবায়ন হারের পাশাপাশি টাকার অংকেও কমেছে।
রোববার (১৪ মার্চ) আইএমইডি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাজেট চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
সংশোধিত এডিপির আকার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে ৬৩ হাজার কোটি টাকা। তবে, এডিপি আকার ছিলো এডিপির আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়। তবে, সংশোধিত এডিপি বা চূড়ান্ত এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা খাতে কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। ফলে চূড়ান্ত উন্নয়ন বাজেট দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ সাড়ে ৯৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
একই সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, টাকার অংকে যা ছিলো ৮০ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার বেশি ছিলো ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা টাকার অংকে ৭০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিলো ৩৮ শতাংশ, যা টাকার অংকে ৬২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিলো ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা টাকার অংকে ছিলো ৪৫ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। তবে, শুধু ফেব্রুয়ারিতে এডিপি বরাদ্দের খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৫৫৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গতবার ফেব্রুয়ারির খরচ হয়েছিল ১১ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মূল প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৩টি।
আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব সময় আর্থিক অগ্রগতি করে থাকি। দেখা যাবে, প্রকল্পের ভৌগ অগ্রগতি বেশি। যে কারণে থার্ড ও ফোর কোয়ার্টারে এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি বেড়ে যাবে। সরকার করোনাকে সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। করোনা মোকাবিলার কারণে সরকার বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তারপরও এডিপি বাস্তবায়নে করোনার একটা নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। বিদেশি পরামর্শক দেশে আসতে পারেনি। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিদেশি সরঞ্জামও দেশে আসতে পারেনি। এখন সবকিছু সচল হচ্ছে। এবারও বছর শেষে ৮০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।