আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি এখন দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য ৭টি ফ্লাইওভার উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বাস রাপিড ট্রানজিট (বিআরটি, এয়ারপোর্ট-গাজীপুর) প্রকল্পের সওজ অংশের আওতায় এই ফ্লাইওভারগুলো নির্মিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পণ্য বর্জন এটা কি সম্ভব। বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কিনা! আসলে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা ব্যর্থতার জন্য তারা নিজেরাই ক্লান্ত, তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারো সাথে কারো কথার মিল আমরা দেখি না। মঈন খান ভারতের সহযোগিতা চান, রিজভী আবার ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন।
দেশের তরুণ প্রজন্মকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম-এর বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করার লোক পায় না, সামরিক প্রশিক্ষণ কাকে দেবে। এটি প্রতারণাপূর্ণএকটি কৌশল। আসলে দলটির নেতারা একেকজনে একেক কথা বলেন। এখন আমরা শুনতে চাই দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি বলেন? তিনিই দলের মহাসচিব।
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকার কেন করবে? এর কোন যুক্তিও নেই, বাস্তবতাও নেই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে হবে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোন কথা বলা নেই।
ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি। এবার ঈদযাত্রা পুরোপুরি স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।
ফ্লাইওভার যান চলাচলে উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা প্রান্তে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল¬াহ নূরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।