মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে আজকের শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। স্বাধীনতার চেতনায় আত্মমগ্ন হয়ে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতার যথার্থ মূল্য দিতে শিখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার মাধ্যমে শিশুদের দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
২৬ মার্চের তাৎপর্য বর্ণনা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ রক্ত ও অশ্রুস্নাত বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহের দিন। ২৬ মার্চ বাঙালির মুক্তির দিন। বাঙালির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৬ মার্চ বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা পর্ব। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের ইংরেজ শোষণ থেকে মুক্ত হয়েও বাঙালি স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকেরা অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষণ করতে থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের। পাকিস্তানিদের প্রকৃত চেহারা উপলব্ধি করে এ দেশের মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগরিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন।
সিমিন হোসেন বলেন, বাঙালি জাতির জীবনের স্বাধীনতা শব্দটি বহু প্রতীক্ষিত একটি স্বপ্নের নাম। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা পরাধীন একটি জাতি ছিলাম, ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে চিরতরে মুক্তির লড়াই শুরু হয়। শত্রুর হাত থেকে স্বদেশ তখন মুক্ত না হলেও মনে মনে আমরা নিজেদের সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবতে শুরু করি সেদিন থেকেই। তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিমন্ত্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শত শিশুর সঙ্গে সংগীত পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা।