প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ প্রতিদিন। আজ দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর একযুগে পদার্পণ উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, দেশের অন্যতম প্রধান জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রকাশনার দ্বাদশ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আমি সংবাদপত্রটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আশা করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ পত্রিকা সঠিক তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বজায় রেখে নিরপেক্ষ সংবাদ প্রচারে আমাদের দেশজ শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পাঠকের সামনে তুলে ধরবে। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য আমরা ২০০৯ সাল থেকে গণমাধ্যম, তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমাদের সরকার আগাগোড়াই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সংবাদসেবীদের কল্যাণের ক্ষেত্রে সহনশীল ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে চলেছে। আগামীতেও আমাদের এই নীতি ও ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁরই হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করল। ২০৪১ সালের আগেই এই দেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।