নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেজবাহুল করিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অন্য আসামিরা হলেন, ডিএনসিসির অঞ্চল-১ এর প্রাক্তন সহকারী প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমা কনস্ট্রাকশনের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ । তবে অঞ্চল-১ এর প্রাক্তন উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও পরবর্তীতে অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম মারা যাওয়ায় তার নাম চার্জশিটে আসেনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক মো.আক্তার হোসেন জানান, মেসার্স নাজমা কনস্ট্রাকশন ডিএনসিসির ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পায়। তবে, বুয়েট বিশেষজ্ঞ দলের মতামতে দেখা যায়, তাদের নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ ও যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে প্রাণহানি ঘটতে পারে আশঙ্কায় একনেকে নির্মিত ইমারতটি ভেঙে এর স্থলে ১০তলা/বহুতল নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ইমারতটি নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৩ টাকা।
কিন্তু সয়েল টেস্টের আগেই ভিত্তিহীন কারিগরি বিশ্লেষণের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন, দুর্বল স্ট্রাকচারাল ডিজাইনে নকশা ও ধারণাগত প্রাক্কলন তৈরি করে তিনটি নির্মাণ কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমা কনস্ট্রাকশনকে বরাদ্দের ওই তিন কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৩ টাকা পরিশোধ করেন ডিএনসিসির তিন কর্মকর্তা।
তাদের মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেজবাহুল করিম নিজে ও অন্য দুই কর্মকর্তার যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে লাভবান করার হীন উদ্দেশ্যে সরকারের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করেন। এ কারণে তার ও অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৪০৯/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয় দুদক। আসামি মো. আব্দুস সালাম মৃত্যুবরণ করা করায় তদন্তকারী কর্মকর্তার সুপারিশ অনুসারে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।




 
							 
							 
							 
							 
							 
							 
							 
							
 
			 
			 
			 
			 
			
Add Comment