ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের ক্লাবে লিলি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ওজন কমানোর ওষুধের বিপুল চাহিদার কারণে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি এলি লিলি শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এক ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে। প্রযুক্তি কোম্পানির আধিপত্যে থাকা এই ‘ট্রিলিয়ন-ডলার ক্লাবে’ প্রথমবারের মতো কোনো ওষুধ কোম্পানি প্রবেশ করলো।

এই বছর কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে—যার বড় অংশই এসেছে ওজন কমানোর ওষুধের বাজারে বিস্ফোরক চাহিদা থেকে।

গত দুই বছরে নতুন ও অত্যন্ত কার্যকর স্থূলতা-বিরোধী ওষুধ বাজারে আসার পর এই খাতটি স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে লাভজনক সেগমেন্টগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।

লিলির টাইরজেপাটাইড—টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য মাউঞ্জারো এবং স্থূলতার জন্য জেপবাউন্ড নামে বাজারজাত—এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ওষুধ, যা মের্কের ক্যান্সার ওষুধ কিট্রুডা-কেও ছাড়িয়ে গেছে।

স্থূলতা-বিরোধী ওষুধের বাজারে নোভো নরডিস্ক প্রথমে এগিয়ে ছিল। কিন্তু মাউঞ্জারো ও জেপবাউন্ডের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় প্রেসক্রিপশনে লিলি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে।

নোভোর ওয়েগোভির ২০২১ সালের উদ্বোধনের সময় সরবরাহ সংকট দেখা দেওয়ায় লিলির এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। পাশাপাশি লিলির ওষুধগুলো ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো কার্যকারিতা দেখিয়েছে, এবং সংস্থাটি দ্রুত উৎপাদন বৃদ্ধি ও সরবরাহ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করতে পেরেছে।

জেপবাউন্ডের ২০২৩ সালের শেষ দিকের উদ্বোধনের পর থেকে লিলির শেয়ারের দাম ৭৫ শতাংশ–এর বেশি বেড়েছে, যেখানে একই সময়ে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক বেড়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ।

সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকে প্রতিষ্ঠানটির স্থূলতা ও ডায়াবেটিস–সম্পর্কিত ওষুধের সম্মিলিত বিক্রি দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা মোট আয়ের (১৭.৬ বিলিয়ন ডলার) অর্ধেকেরও বেশি।

ওয়াল স্ট্রিটের ধারণা, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ওজন কমানোর ওষুধের বাজার ১৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এর বেশির ভাগ বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করবে এলি লিলি ও নোভো নরডিস্ক। -সূত্র: রয়টার্স

—জা.অর্থনীতি/আরএস

Add Comment

Click here to post a comment

space for add

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০